গাজীপুরের শ্রীপুরে লাউ শাক দেয়ার কথা বলে হাত-পা বেঁধে কিশোরীকে ধর্ষণ 276 0
ধর্ষক আকতার হোসেন
লাউ শাক দেয়ার কথা বলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে হাত-পা ও মুখ বেঁধে এক কিশোরীকে ধর্ষণ করেছে প্রতিবেশী এক ব্যক্তি। এ ঘটনায় বুধবার কিশোরীর বাবা শ্রীপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে হাত-পা বেঁধে একাধিক ধর্ষণের ঘটনায় এলাকায় আতংক দেখা দিয়েছে।
শ্রীপুর থানার এসআই আশরাফুল্লাহ ও ধর্ষিতার পরিবারের জানান, গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গোসিংগা ইউনিয়নের চাওবন এলাকার সুলতানের ছেলে আকতার হোসেন মঙ্গলবার দুপুরে লাউ শাক দেওয়ার কথা বলে প্রতিবেশী এক কিশোরীকে (১৫) বাড়িতে ডেকে আনে। এসময় বাড়িতে লোকজন না থাকার সুযোগে আকতার হোসেন ভয় দেখিয়ে হাত-পা ও মুখ বেঁধে কিশোরীকে ধর্ষণ করে। পরে ধর্ষিতার মুখের বাঁধন খুলে ঘটনা প্রকাশ না করার জন্য ছোরা দেখিয়ে হুমকি দেয় সে। এসময় কিশোরী চিৎকার শুরু করলে লম্পট আকতার পালিয়ে যায়। পরে কিশোরীর মা ও আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থল থেকে কিশোরীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীকে আহতাস্থায় উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। ধর্ষক আক্তার হোসেন বিবাহিত। এ ঘটনায় বুধবার কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এব্যাপারে শ্রীপুর থানার ওসি জানান, এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ বিভিন্নস্থানে চালিয়েছে। তবে বুধবার বিকেল পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি একই উপজেলার নয়নপুর এলাকার শিশু শিক্ষা মডেল স্কুল এন্ড একাডেমীর অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে জন্মদিনের অনুষ্ঠানের কথা বলে প্রতিবেশীর বাড়িতে ডেকে নেয়া হয়। সেখানে জন্মদিনের কেক কেটে সবাই মিলে আনন্দ-উল্লাস করার একপর্যায়ে এনার্জি ড্রিংকের সঙ্গে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে কৌশলে কিশোরী ওই স্কুল ছাত্রীকে তা পান করানো হয়। এতে ছাত্রীটি জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে তাকে পার্শ্ববর্তী এক ঝোপে নিয়ে হাত-পা ও মুখ বেঁধে চার বখাটে বন্ধুরা রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে ও ভয়ভীতি দেখায়। পরে ধর্ষকরা স্থানীয় একটি সেলুনে বসে ঘটনার তথ্য উল্লেখ করে এবং নিজেদের পরিণতি স্বীকার করে মোবাইল ফোনে ভিডিও ফুটেজ ধারণের পর তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আপলোাড করে। পরদিন এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। ধর্ষণের এ ঘটনায় ধর্ষক চার বন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়।